আজ ১৫ই অক্টোবর, বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। এবারে এ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য হাতের স্বাস্থ্যবিধি’। যদিও আমরা সারা বছর হাত ধুয়ে থাকি, তাও এর জন্য একটি দিনকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে যেন এর গুরুত্ব বেশি করে উপলব্ধি করা যায়। কোভিড (করোনা) সিজনে হাত ধোয়া নিয়ে যে পরিমাণ প্রচার প্রচারণা হয়েছে তা বোধ হয় আর কোন ক্ষেত্রেই ঘটেনি। অথচ হাত ভালো করে না ধোয়ার জন্য অসংখ্য রোগ আগে থেকেই হয়ে আসছে যেগুলোর মধ্যে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, বিভিন্ন প্রকার পরজীবী কৃমির সংক্রমণ ইত্যাদি অন্যতম। প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লাখ শিশু তাদের বয়স পাঁচ বছর পূর্ণ হবার আগেই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় মারা যায়। এতো বেশি মৃত্যু কেবল হাত ভালো করে ধোয়ার মাধ্যমে অনেকটাই কমানো যেতো ।
বেশির ভাগ মানুষই মনে করে তাদের হাত খুব পরিষ্কার, কারন হাতে থাকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণুগুলো খালি চোখে দেখা যায়না। অথচ হাতের এক বর্গ সেন্টিমিটার এলাকায় প্রায় ৪০০০০ থেকে ৫ লাখ ব্যাক্টেরিয়া থাকে। ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণের একটি খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান হচ্ছে হাতের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এটি আরো বেশি প্রযোজ্য।
২০০৮ সন থেকে বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা তৈরির জন্য হাত ধোয়া দিবসের শুরু।শুধু পানি দিয়ে হাত ধুলেই হবেনা, সাবান পানি দিয়ে অন্ততঃ ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে। কোনো কারনে হাত নোংরা হয়ে গেলে, খাবার খাওয়ার আগে বা খাবার স্পর্শ করলে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, নাক-মুখ পরিষ্কারের পর বা হাঁচি কাশি দেয়ার পরে, কোন প্রাণী স্পর্শ করলে বা বাইরে খেলাধূলা করলে অবশ্যই হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য কিভাবে ও কখন তাদের হাত ধোয়া লাগবে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে ।
আসুন আমরা আরো সচেতন হই, ভালো করে হাত ধুয়ে অনেক জীবননাশী রোগ প্রতিরোধ করি, সুস্থ থাকি।