বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস, অক্টোবর ১০, ২০২০
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্যঃ অধিক বিনিয়োগ, অবাধ সুযোগ’।
মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের হেলথ সেক্টরের সবচেয়ে অবহেলিত বিষয়গুলোর মধ্যে একটি। সারা বিশ্বে প্রায় এক বিলিয়ন মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ। আর এখন এই কোভিড পিরিয়ডে এই অসুস্থতা আরো বহুগুণ বেড়ে গেছে।
কিডনি, হার্ট, লিভার, ফুসফুস বা অন্য কোন রোগ হলে মানুষ সেই বিষয়ের ডাক্তারের কাছে যায়, কিন্তু মানসিক রোগ হলে মানসিক রোগের ডাক্তারের কাছে না গিয়ে নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যাবে এই আশা করে আরো বেশি সময় কাটাতে থাকে। ফলশ্রুতিতে সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে।আমাদের সমাজে এই অসুস্থতাকে ভালো নজরে দেখাই হয়না, আর সমস্যা হলে বেশির ভাগ মানুষই ডাক্তারের কাছে যেতে নিরুৎসাহিত করে। অথচ মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে কোন কাজই যত্ন নিয়ে করা যায়না।
বর্তমানে কোভিড সিজনে মানসিক স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটেছে। যাদের কোভিড হয়েছে তারাও আক্রান্ত আর যাদের হয়নি তারাও আক্রান্ত। দীর্ঘমেয়াদী আইসোলেশনে থাকা, ভয়, দুঃশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা, সামাজিক দূরত্ব ও বিভিন্ন প্রকার বিধিনিষেধ সব বয়সের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছে
বর্তমানে কোভিড সিজনে মানসিক স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটেছে। যাদের কোভিড হয়েছে তারাও আক্রান্ত আর যাদের হয়নি তারাও আক্রান্ত। দীর্ঘমেয়াদী আইসোলেশনে থাকা, ভয়, দুঃশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা, সামাজিক দূরত্ব ও বিভিন্ন প্রকার বিধিনিষেধ সব বয়সের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। এর সাথে আছে চাকুরি হারানো, বেতন কমে যাওয়া সহ অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতি। এসবই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বড় হুমকি স্বরূপ।
সময় এসেছে সচেতন হবার।ব্যাপক সচেতনামূলক ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান, যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব দেয়া এবং দেশের সর্বস্তরে বেশি বেশি মানসিক সেবাদান প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করা সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারলে মানসিক সুস্থতা অনেকটাই বজায় রাখা সম্ভব হবে। আর তাই মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় অধিক বিনিয়োগের বিকল্প নেই। সঠিক সময়ে সুচিকিৎসা নিশ্চিত হলে অনেক অসুস্থ মানুষ উপকৃত হবে যা দেশের জন্যও কল্যাণ বয়ে আনবে।
মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় কিংস্টন হাসপাতাল সবসময়েই আপনার পাশে আছে এবং থাকবে।