আজ বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। এই বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হল ‘প্রতিটি শ্বাসের সংখ্যা’। ফুসফুসের ইনফেকশনকে নিউমোনিয়া বলা হয়। ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাক – যেকোন জীবাণু দিয়েই নিউমোনিয়া হতে পারে। শিশু থেকে বয়স্ক সবাই এতে আক্রান্ত হতে পারে। আমাদের দেশে প্রতি ঘন্টায় পাঁচ বছরের কম বয়সী তিনটি শিশু নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণ করে। বর্তমানে এক হাজার জীবিত শিশুর মধ্যে আটজনই এই রোগে মারা যায়। বছরে মারা যায় ২৪৩০০ জন শিশু। এদের একটি বড় অংশ বাসায় মারা যাচ্ছে।
আমাদের দেশে প্রতি ঘন্টায় পাঁচ বছরের কম বয়সী তিনটি শিশু নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণ করে। বর্তমানে এক হাজার জীবিত শিশুর মধ্যে আটজনই এই রোগে মারা যায়। বছরে মারা যায় ২৪৩০০ জন শিশু। এদের একটি বড় অংশ বাসায় মারা যাচ্ছে।
শিশুর শ্বাসকষ্ট, জ্বর-কাশি, শ্বাসের সময় বুক ভিতরের দিকে দেবে যাওয়া ইত্যাদি নিউমোনিয়ার লক্ষণ। কোভিড ১৯ এর এই সময়ে এই রোগ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। আর শীতকালে এর প্রকোপ আরো বাড়তে পারে। তাই মায়েদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে। লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসক দেখাতে হবে। শিশু জন্মের পরে ৬ মাস শুধু মায়ের বুকের দুধ এবং এই বয়সের পরে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। এছাড়া সময়মতো টিকা দিতে হবে। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
শিশুদের মতো বয়স্করাও অসুস্থ হতে পারেন। যাদের দীর্ঘমেয়াদী কোন অসুস্থতা আছে বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, ধূমপান করেন, তাদের এটি হবার সম্ভাবনা বেশি। কোভিড ১৯ রোগের মতো হাত বারবার ধোয়া, মাস্ক পড়া ও দূরত্ব বজায় রাখতে পারলে কিছুক্ষেত্রে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। দেরি না করে চিকিৎসক দেখিয়ে সঠিক ওষুধ সেবন করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ধূমপান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা এবং বিশেষ ক্ষেত্রে টিকা নেওয়া ইত্যাদি পদক্ষেপ নিলে দ্রুত সুস্থ হওয়া এবং দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা সম্ভব।