বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস
১৪ নভেম্বর, ২০২০
আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ডায়াবেটিস সেবায় পার্থক্য আনতে পারেন নার্সরাই’।
বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস মহামারী আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৩৬৬ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে।বছরে অন্ততঃ ৪.৬ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে মারা যায়। আমাদের দেশে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আর এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি জানেন না যে তাদের ডায়াবেটিস আছে। অতিরিক্ত ক্ষুধা ও পিপাসা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, ক্লান্তি, ওজন কমে যাওয়া,অবসন্নতা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে ডায়াবেটিসের রোগীরা আসতে পারে। অনেকের কোন লক্ষণই থাকেনা। অন্য কোন রোগের জন্য বা রুটিন চেক আপেই তাদের ডায়াবেটিস সনাক্ত হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাপন পদ্ধতিতে শৃঙ্খলা মেনে চলা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস আর ওষুধ খেলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৩৬৬ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে।বছরে অন্ততঃ ৪.৬ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে মারা যায়। আমাদের দেশে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আর এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি জানেন না যে তাদের ডায়াবেটিস আছে।
সারা পৃথিবীতে স্বাস্থ্যকর্মীদের অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যা জুড়ে আছেন নার্স। যে হারে ডায়াবেটিস বাড়ছে তা খুবই আশংকাজনক। এতো পরিমাণ রোগীর সার্বিক চিকিৎসার জন্য নার্সদের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। নিয়মিত প্রশিক্ষণ দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই পরিকল্পিতভাবে নার্সদেরকে এই নীরব ঘাতক রোগ সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। উন্নত বিশ্বে ডায়াবেটিস নার্সদের আলাদা ইউনিট থাকে যাদের কাজ হলো ডায়াবেটিস রোগীদেরকে তাঁদের রোগ সম্পর্কে জানানো, কিভাবে মেডিসিন নিতে হবে শিখিয়ে দেওয়া, হাত, পা, চোখ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হবে বুঝিয়ে দেয়া, নিজে নিজে রক্ত পরীক্ষা করা ও ইন্সুলিন নেয়া শিখিয়ে দেয়া, নিয়মিত ফলো-আপে আসার গুরুত্ব বুঝিয়ে দেয়া ইত্যাদি। এভাবে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় একজন প্রশিক্ষিত নার্স অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। আর তাই বলা হচ্ছে যে ‘ডায়াবেটিস সেবায় পার্থক্য আনতে পারেন নার্সরাই’।
ডায়াবেটিস এর চিকিৎসায় রোগী, চিকিৎসক, নার্স, পরিবারের সদস্য সকলেরই সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন। আর তাহলেই একজন ডায়াবেটিক রোগী সচেতন হতে পারবেন এবং রোগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।