আমাদের দেশের মতো যখন তখন যেমন ইচ্ছে তেমন এন্টিবায়োটিক গ্রহণ এর উদাহরণ খুব কম দেশেই পাওয়া যাবে। উন্নত দেশগুলোতে প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া কেউ এন্টিবায়োটিক নিতেই পারেনা। আমাদের বেশির ভাগ রোগীরা চিকিৎসক এর কাছে আসার আগেই এন্টিবায়োটিক সেবন করে আসে। ফার্মেসিগুলোতে ইচ্ছেমতো এন্টিবায়োটিক বিক্রি হয়। সেই ওষুধ ঠিক না ভুল তা যাচাই করাই হয়না। অনেক ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক এর পুরো কোর্স শেষ ও করা হয়না। কোন কোন অসুখে এন্টিবায়োটিক এর প্রয়োজন তা চিকিৎসকই ভালো জানেন। এমন করে অযৌক্তিক উপায়ে ওষুধ খাওয়ার জন্য এখন আমরা মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। অনেক এন্টিবায়োটিক এখন আর আগের মতো কাজ করছে না। এর ফলে চিকিৎসা করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে।
তাই এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতন হতে হবে।রেজিস্টার্ড চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে নিয়ম মেনে ওষুধ খেতে হবে। এছাড়া ইনফেকশন প্রতিরোধে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। মাছ, হাঁস-মুরগি ও পশু খামারে অপ্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে বিরত থাকতে হবে। চিকিৎসকসহ সব পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদেরও এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে হবে।